ধর্ম

তাবলিগের সাথীদের জন্য নতুন নির্দেশনা

চলতি মাসের ১ তারিখ শনিবার টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা মাঠে পক্ষ-বিপক্ষ হামলা হয়। এতে তাবলিগ জামাতের আলেম ও সাথীরা হতাহতের শিকার হন। সরকারি নির্দেশনায় সে হামলা বন্ধ এবং ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করে উভয় পক্ষের সাথী ও আলেমরা।

Advertisement

এরই মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইল থেকে সাথীদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশনামূলক চিঠি প্রকাশ করা হয়। কাকরাইল মারকাজের প্যাডে তাবলিগের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা যোবায়ের আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিশ্ব ইজতেমার আগে সাথীদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়-

গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গি ময়দানে সাথীদের ওপর যে হালাত এসেছে তা অত্যন্ত হৃদয়-বিদারক। দুনিয়াতে যেসব হালাত আসে তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আসে। হালাত চলে যায়, কিন্তু হালতের ওপর যে আমল করা হয় তা অবশিষ্ট থাকে।

এ জন্য এই হালতে তওবা, এস্তেগফার করি এবং দোয়া ইউনুসের ওপর আমল করি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা হালাহ দূর করে দিবেন।

Advertisement

এ অবস্থায় জমে না থেকে দ্বীনি দাওয়াতের এ কাজ আরও বেগবান করার কথাও বলা হয় চিঠিতে।

বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কাকরাইলের পরামর্শে নিচের সিদ্ধান্তগুলো ঠিক হয়-

ক. পাঁচ দিনের জোড় ৭-১১ ডিসেম্বর-২০১৮ টঙ্গীর (বিশ্ব ইজতেমা) ময়দানে হওয়ার কথা ছিল, তা হবে না।

খ. যেসব সাল, ৩ চিল্লার সাথী ও কম-বেশি ওয়াক্ত লাগানো ওলামা হজরত পাঁচ দিনের জোড়ের জন্য তৈরি হয়েছিলেন, তাদের জিলা মারকাজে ৫/৭ দিনের জামাত বানিয়ে নিজ নিজ জেলা সফর করা।

Advertisement

গ. জোড় থেকে যে সময় ১ চিল্লা, ৩ চিল্লার জামাত বের হওয়ার কথা ছিল সেসব জামাত নিজ জেলা থেকে ৪০ দিনের জন্য বের হবে, জামাতের রওনগী ও ওয়াফেসী মারকাজ থেকে হবে ইনশাআল্লাহ।

খ. যারা নিজ জেলা থেকে জামাত বের করতে পারবেন না, তারা জামাতগুলোকে কাকরাইলে পাঠাতে পারবেন।

ঙ. জামাতের নম্বর, রোখ ও পর্চার কাগজ কাকরাইলের তাসকিল থেকে নিলে ভালো হয়।

চ. যে থানার সাথী সে থানায় রোখ না করা মোনাসেব।

ছ. প্রয়োজনে জেলার জিম্মাদার সাথীগণ পার্শ্ববর্তী জেলার জিম্মাদার সাথীদের সাথে পরামর্শ করে পাশ্ববর্তী জেলায়ও জামাতের রোখ দিতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইজতেমা মাঠে জোড় বন্ধ থাকায় তাবলিগের সাথীদের জন্য এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কাকরাইল মারকাজ।

এমএমএস/আরআইপি