জাতীয়

গণতন্ত্রের মানসপুত্রের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ ৫ ডিসেম্বর, গণতন্ত্রের মানসপুত্র, উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের এক হোটেল কক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Advertisement

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় এবং নির্বাচনে অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সব সময়ই গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজে তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন। তার প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক পাশের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি ১৯১৮ সালে গ্রেস ইন হতে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

Advertisement

এদিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মরহুম এই নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ জাতিকে সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে আসছে। তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন কাজ করেছেন।

এমএমজেড/এমকেএইচ

Advertisement