প্রবাস

‘বাংলাদেশি বন্দিরা খুব ভালো’

মালয়েশিয়ার কমান্ডার পিপি আই হাজিজান বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশি বন্দিরা খুব ভালো। অন্যান্য দেশের বন্দিরা বিভিন্ন অপরাধে জেল খাটছে। কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেছেন, বন্দিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তাদের কোনো প্রকার হয়রানি করাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী সাজা শেষে তাদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর ও অতিরিক্ত সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রইস হাসান সারোয়ার, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক আহমাদুল কবির এবং দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মো. মোকসেদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন।

হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম ক্যাম্পের প্রধানকে বলেছেন যাতে বাংলাদেশি বন্দিদের কোনো অসুবিধা না হয়। বন্দিদের দ্রুত দেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন ক্যাম্পের এ কর্মকর্তা।

Advertisement

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থলপথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পে।

২৯৬ জনের মধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৪০ জন, ৬ ডিসেম্বর ১৮ জন ও ১৩ ডিসেম্বর ৩১ জন বন্দি দেশে ফেরত যাচ্ছে বলে জানালেন ক্যাম্পের সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি অনেকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।

প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সিলর বলেন, প্রত্যেকটি ক্যাম্পে কতজন বাংলাদেশি আটক রয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি। আটকদের সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পিকে নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রাজায়ায় রাখা হচ্ছে।

এমআরএম/এমএস

Advertisement