প্রবাস

দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২৯৬ বাংলাদেশি

কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দি শিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তখন দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। দেশটির সিমুনিয়া ক্যাম্পে ২৯৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর ও অতিরিক্ত সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রইস হাসান সারোয়ার, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক আহমাদুল কবির এবং দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মো. মোকসেদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন।

হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়। সিমুনিয়া ক্যাম্পে ২৯৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানান কাউন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম।

২৯৬ জনের মধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৪০ জন, ৬ ডিসেম্বর ১৮ জন ও ১৩ ডিসেম্বর ৩১ জন বন্দি দেশে ফেরত যাচ্ছে বলে জানালেন ক্যাম্পের সংশ্লিষ্টরা।এদিকে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি অনেকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।

Advertisement

প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সিলর বলেন, প্রত্যেকটি ক্যাম্পে কতজন বাংলাদেশি আটক রয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি। আটকদের সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পিকে নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রাজায়ায় রাখা হচ্ছে।

এমআরএম/আরআইপি