অটিজম ব্যবস্থাপনায় দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকায় পাঁচদিনব্যাপী সার্টিফিকেট কোর্স মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো এই কোর্স চলছে রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অটিজম বিশেষজ্ঞরা এ কোর্সটি পরিচালনা করছেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের আডেলফি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় ফেইথ বাংলাদেশ ‘ট্রেডিশনাল থেরাপিস অ্যান্ড আর্ট মোডালিটিজ’ শীর্ষক এই কোর্স পরিচালনায় বিশেষজ্ঞরা হলেন- যুক্তরাষ্টের স্টিফেন মার্ক সোর, জোয়ানে লারা, জেন ফেরিস রিচার্ডসন ও ক্যারেন শেফার হাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের আলি গোল্ডিং এবং ভারতের মানিশ সামনানি।
আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেইথ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার আহমেদ করিম।
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে গড়ে ১৭জন অটিজমে আক্রান্ত এবং এ সমস্যা মোকাবেলা দেশের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজন বিষয়টির প্রতি আরও নজর দেয়া এবং এটি মোকাবেলায় একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সমাজের জন্য বোঝা না, তাদের ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে তারাও সমাজের জন্য সম্পদে পরিণত হতে পারে।
অধ্যাপক মান্নান বলেন, সমাজের উচিত অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন নয়, তাদের ভালোবাসা এবং তাদের প্রতি ভালো আচরণ করা। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ অনেক কিছু করেছে, তবে এ ব্যাপারে এখনও অনেক করার আছে।
নিলুফার আহমেদ করিম বলেন, অটিজম বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বক্তারা বলেন, অভিভাবকরা যদি শিশুদের মধ্যে কোনও রকম বৈকল্য দেখতে পান, তবে তাদের উচিত অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
Advertisement
এমইউ/জেডএ/এমএস