জাল সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ‘ভুয়া পরিচয় দিয়ে’ পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে চাকরি নেয়া আবদুল মালেককে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
জামিন আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে আজ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী মোল্লা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
পরে আমিন উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল (নং- ৯৯৯০) আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৯৯৮ সালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এসএসসি পাশের কথা উল্লেখ করেছেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে বাবা হিসেবে মো. আবদুর রাজ্জাকের মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দাখিল করেন। তিনি মূলত এসএসসি পাস করেনি। তার বাবার নাম মো. আবদুস সাত্তার।
Advertisement
জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটিত হওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আগাম জামিন আবেদনের পর মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী নওশের আলী মোল্লা জানান, তাদের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, তাকে চাকরিচ্যুত (ডিসমিসড) করা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএ/এমএস
Advertisement