রাজনীতি

বিএনপি নাটক করছে : হাছান মাহমুদ

‘দণ্ডিত আসামি ও ঋণ-বিল খেলাপিদের মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থিতা বাতিলের পর বিএনপি এখন নাটক করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

Advertisement

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোডে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর কাজই হচ্ছে শুধু অভিযোগ করা। বিএনপি ঋণ খেলাপি, বিল খেলাপিদের জেনেশুনেই মনোনয়ন দিয়েছে। যাতে প্রার্থিতা বাতিলের পর নাটক করতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের ইতিহাসে গত ৪৭ বছরে কোনো দল ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দেয়নি। বিএনপি দিয়েছে, কারণ তারা জানত যে, তাদের অনেকের মনোনয়ন টিকবে না। অথচ ঋণ খেলাপি ও দণ্ডিত আসামিদের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই সতর্ক ছিল।’

‘ঋণ খেলাপি, বিল খেলাপি বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মনোনয়ন দিয়েছে। এতে তাদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। নিজেদের এই দোষ ঢাকতে তারা এখন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে, নাটক করছে’- বলেন হাছান মাহমুদ।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘রিজভী আহমেদ বলেছেন, টার্গেট করে নাকি তাদের ৫০ জন নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রও নাকি তার বক্তব্য অনুযায়ী টার্গেট করে বাতিল করা হয়েছে। অথচ তারা জানতেন, তাদের অনেকগুলো মনোনয়ন টিকবে না। এজন্য তারা একটি আসনের বিপরীতে কয়েকজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। মোট ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে একশর ওপরে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। কেউ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, কেউ ঋণ খেলাপি আর কেউ বিল খেলাপি। এজন্য তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।’

বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগে থেকেই জানতেন- দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেদিন বিএনপির মহাসচিব বলেছিলেন, এবার প্রথম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অর্থাৎ তারা জানতেন যে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান আওয়ামী লীগ রচনা করেনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংবিধান রচিত হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বেই সংবিধান রচিত হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আবু আজাদ/এমএআর/এমএস