রোভারিং পার করেছে শতবর্ষ। এ উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বাইসাইকেল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্কাউটস। আজ (৪ ডিসেম্বর) রোভার মুটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে গাজীপুর জেলার বাহাদুরপুরের রোভারপল্লীর রোভার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। এ কার্যক্রম চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
একে ঊনবিংশ আঞ্চলিক রোভার মুটও বলা হয়। সারাদেশ থেকে বাছাই করা ২ হাজারের মতো রোভার স্কাউট এতে অংশ নিয়েছে। নানা প্রস্তুতির পর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে এসেছেন তারা। রোভার স্কাউটদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত স্কাউটিংয়ে তিনটি ধাপ- কাব স্কাউট, স্কাউট ও রোভার স্কাউট।
> আরও পড়ুন- টিফিনের টাকায় অসহায় মেধাবীদের পাশে শিক্ষার্থীরা
এই রোভার স্কাউটই স্কাউটিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য রোভার। যাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে দক্ষ রোভারদের সুযোগ হয় এমন মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করার। ১৪টি চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে হয় রোভারদের। এর মধ্যদিয়ে রোভারদের ক্যারিয়ার হয় আরো শক্তিশালী। যারা কখনো কোমল বিছানা ছাড়া ঘুমান না, তারা এ ক’দিন পার করবেন তাঁবুবাসে!
Advertisement
এখানে অজানা পথে হাইকিং, সমাজ উন্নয়নে রাস্তার খানা-খন্দ মাটি দিয়ে ভরাট, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং কার্যক্রম, বাঁধা পেরিয়ে যাওয়ার মতো কঠিন কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এসব চ্যালেঞ্জে প্রতিটি ইউনিটের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। রাতেই তাঁবু জলসার প্রস্তুতি। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় টিকে থাকা সেরাদের নিয়ে শেষদিন অনুষ্ঠিত হয় মহা তাঁবু জলসা।
> আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী প্রধান শিক্ষক বাবর
তবে রোভারদের নিরাপত্তা, পানি, টয়লেট ব্যবস্থা আরো উন্নত করা দরকার। হাজার হাজার রোভারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ফিল্টার মেশিন দিয়ে পরিশোধিত পানি, উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অংশগ্রহণ করা রোভাররা সবাই মুঠোফোন ব্যবহার করেন। তাই চার্জার সংযোগে সুবিধাজনক করা সময়ের দাবি। অষ্টাদশ আঞ্চলিক রোভার মুট থেকে শিক্ষা নিয়ে আয়োজকরা আরো দায়িত্বশীল হবেন বলে দাবি করেছেন রোভাররা। রোভার মুটের শতবর্ষ সফল হোক। রোভারদের জন্য রইল শুভ কামনা।
Advertisement
লেখক: রোভার, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ।
এসইউ/জেআইএম