‘স্যার, মনোনয়ন ফরম দিতে দিতে এক্কেবারে ক্লান্ত হইয়া গেছি। একটু বিশ্রাম নিতে চেয়ার থাইক্যা উইঠ্যা আইসা পড়ছি। বাপরে বাপ, আগে ১৭টা পদের বিপরীতে বড় জোর ৫০টা থাইক্যা ৬০টা ফরম বিলি অইতো। আর অহন বাজে দুইটা, তিনশ’র ওপর ফরম বিলি করছি।’
Advertisement
সোমবার দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতলার অফিসকক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে কথাগুলো বলছিলেন এক কর্মকর্তা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল আজ।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে নির্বাচনে আগ্রহী বিপুলসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করলে কর্মকর্তারা একপর্য়ায়ে হাঁপিয়ে উঠে মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ রেখে খানিকটা বিশ্রাম নিতে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিন শেষে চার শতাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত সকাল থেকে রাত অবধি নবীন-প্রবীণ সদস্যদের পদচারণায় মুখরিত থাকছে ক্লাবপ্রাঙ্গণ। নিচতলা ও দোতলার ক্যান্টিন, খাবারঘর ও ক্লাবের চৌহদ্দিজুড়ে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থী, তাদের সমর্থক ও ক্লাবসদস্যদের উপস্থিতিতে সরগরম থাকছে।
Advertisement
নির্বাচনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন তারা ক্লাবসদস্যের কাউকে দেখলেই সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। ব্যক্তিবিশেষে করমর্দন ও বুকে জড়িয়ে ধরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কথা জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে দোয়া ও আগাম ভোট চাচ্ছেন। সম্পর্ক একটু গভীর হলে ক্যান্টিনে নিয়ে নাস্তা ও লাঞ্চ করাচ্ছেন।
দুই বছর মেয়াদে জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনে প্রধানত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অন্যতম বিরোধী দল বিএনপিপন্থীরা ফোরাম প্যানেল করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার ভোটার সংখ্যা এক হাজার ২১২ জন।
জানা গেছে, দুই প্যানেলের প্রার্থী বেশি হওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক-১, যুগ্ম সম্পাদক-২, কোষাধ্যক্ষ ও ১০টি সদস্যপদের বিপরীতে প্রায় চারশ’ ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফোরামের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে আপস করে নির্ধারিত পদের বিপরীতে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এবার নির্বাচনে শীর্ষসহ সব পদেই একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
Advertisement
এমইউ/বিএ