মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি। সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
Advertisement
এর আগে গতকাল (রোববার) গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল দাখিল শেষে সাংবাদিকদের গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি। আমার মনোনয়নপত্রে সামান্য ভুল ছিল। অতীতে এই ভুলের জন্য কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়নি। আশা করছি আমারটাও বাতিল হবে না। নির্বাচন কমিশনের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে।’
নিজের মনোনয়নপত্রের বর্ণনা দিয়ে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘ভুলটা হলো এই, আমরা যে একটি সাপ্লিমেন্টারি ডকুমেন্ট জমা দেই সেটি হলো নোটারি পাবলিকের হলফনামা। নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় যে তথ্যগুলো আমরা দেই, সেই তথ্যগুলোই আবার নোটারি পাবলিক করে জমা দিতে হয়। আমরা যেটার দুটো কপি করেছিলাম। একটি কপি গলাচিপায় জমা পড়েছে, আরেকটি কপি যেটি মূলকপি সেটিতে ভুলক্রমে আমার স্বাক্ষর পড়েনি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘অতীতে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় এ রকম ভুল ধরা পড়লে বলা হত এখানে স্বাক্ষর করে দেয়ার জন্য। এখন সেই স্বাক্ষরের সুযোগ না দিয়ে আমাকে সরাসরি বলা হলো আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল। আমি সেটি মেনে নিয়েছি, এখানে বিধি মোতাবেক সার্টিফাইট কপি নিয়ে এসেছি।’
দল পরিবর্তন করছেন বলেই কি সামান্য ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না এখন। ইসিতে আমি বিচার প্রার্থী। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আজ (৩ ডিসেম্বর, সোমবার) থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আপিল করতে পারবেন। ইসি আবেদনের ওপর শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।
জানা গেছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত মনোনয়ন ফিরে পেতে ইসিতে আপিল করা যাবে। আপিল আবেদন পাওয়ার পর ৬-৮ ডিসেম্বর আপিল আবেদনের শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। আপিলের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসতে হবে। এদিকে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা সোমবার সকাল থেকেই ইসিতে আপিলের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
Advertisement
এএস/এমএমজেড/জেআইএম