নিজেদের ভালোর জন্যই সবাইকে এক হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বসেছিল ব্যান্ড শিল্পীদের মিলনমেলা। প্রয়াত রক কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) আয়োজন করে এ ‘ফেয়ারওয়েল ট্রিবিউট টু আইয়ুব বাচ্চু’। ছোট-বড় সব ব্যান্ড শিল্পীরা এক হয়েছিলেন এ আয়োজনকে ঘিরে।
Advertisement
এখানে সবাইকে আইয়ুব বাচ্চুর রুপালী গিটার গানটি গেয়ে শোনান বাপ্পা মজুমদার। এরপরেই উপস্থিত শিল্পীদের উদ্দেশ্যে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘আজ আমাদের এই মিলনমেলা দেখে আসলেই ভালো লাগছে। আমার সামনে অনেক সিনিয়র শিল্পীরাও আছেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে আজ একটা কথা বলতে চাই। সেটা হলো, আমার মনে হয় আমাদের বন্ডিংটা আরও একটু মজবুত হওয়া দরকার। আমরা আসলে খুব বিচ্ছিন্ন।
তিনি বলেন, বড়দের সঙ্গে ছোটদের যোগাযোগ কম, ছোটদের সঙ্গে বড়দের যোগাযোগ কম, এইটা আমি অনেক বেশি ফিল করি এখন। শুধু ব্যান্ড মিউজিকে না, যেকোনো মিউজিকে, যেকোনো ক্রিয়েটিভ মিডিয়াতে আমরা যতো একজন আরেকজনের সঙ্গে এক হয়ে মিলেমিশে কাজ করব। আমরা সবাই মিলে তত বেশি এগিয়ে যাব বলে আমি মনে করি।
বাপ্পা আরও বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু ভাই চলে যাওয়ার পর বোধ উদয় হওয়ার মতো একটি বিষয় হয়েছে আমার। আগেও মনে হয় বলেছিলাম কথাটা। আসলে একটা মানুষ বেঁচে থাকতে তাকে শ্রদ্ধা জানানোটা অনেক বেশি জরুরি। একটা মানুষ যখন বেঁচে থাকে তাকে যতো বেশি শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানাবো, এটা সেই মানুষটার জীবনেও প্রভাব ফেলে, তাকে বাঁচিয়ে রাখে।’
Advertisement
উল্লেখ্য, ‘ফেয়ারওয়েল ট্রিবিউট টু আইয়ুব বাচ্চু’ কনসার্টে আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলো গেয়েছেন বামবার সদস্যরা। রোববার সন্ধ্যার আগে আগে শুরু হয়েছিল কনসার্ট চলেছে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন মাকসুদ ঢাকা ব্যান্ডের মাকসুদুল হক। গানও গেয়েছেন তিনি। এছাড়া শাফিন আহমেদ গেয়ে শোনান ‘আসলে কেউ সুখি নয়’ গানটি। সুমন ও মানাম আহমেদ গেয়েছেন ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’।
আর্বোভাইরাস ব্যান্ড গেয়েছে ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’, শূন্য ব্যান্ড শুনিয়েছে ‘বাংলাদেশ’ গানটি। রাসেল নাগরিক এর কণ্ঠে উঠে এসেছে ‘দিশেহারা এ হৃদয়’।
সব শেষে স্টেজে আসে এলআরবি। আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্নের ব্যান্ড এলআরবির সঙ্গে স্টেজে হাজির হয় বামবার সকল সদ্যস্যরা সবাই একসঙ্গে গায়, সেই তুমি কেনো এতো অচেনা হলে। ‘চল বদলে যায়’ গানটি গাইতে গাইতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রিয় মানুষকে হারানোর আকুতি বুকে নিয়েই শেষ হয় কনসার্ট।
এমএবি/আরএস
Advertisement