খেলাধুলা

এখনই পাকিস্তানে জাতীয় দল পাঠানোর কথা ভাবছে না বিসিবি

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হবার পর পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠাতে উৎসাহ দেখিয়েছিলেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। এখন প্রশ্ন হলো, এশীয় ক্রিকেটের নতুন কান্ডারি হয়ে বিসিবির বর্তমান প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও কি পাকিস্তানে জাতীয় দল পাঠাতে আগ্রহী?

Advertisement

এমার্জিং কাপ খেলতে অনূর্ধ-২৩ দল যাচ্ছে কাল সোমবার বিকেলে। আগামীতে বা নিকট ভবিষ্যতে কি বাংলাদেশ জাতীয় দলও পাকিস্তান পাঠানো হবে? পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাবে টাইগারা? ক্রিকেট পাড়ায় এমন আলোচনা। অনেকেই চিন্তিত, শঙ্কিত।

তবে শেষ খবর, এমার্জিং কাপ খেলতে অনূর্ধ-২৩ দলকে পাঠানো হলেও জাতীয় দলের আপাতত বা অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তান খেলতে যাবার সম্ভাবনা নেই। আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমনটাই জানালেন।

পাকিস্তানের সাথে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেদেশে যাবার সম্ভাবনা আছে কিনা, থাকলেও কতটা? এমন প্রশ্নে পাপন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের পাকিস্তান যাবার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হলে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, পাকিস্তানে নয়।

Advertisement

পাপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত, তা হলো আমরা বিকল্প ভেন্যুতে খেলবো। আমাদের নারী দল যে গিয়েছিলো, তখন ওরা সেরা নিরাপত্তা দিয়েছিল। এর আগে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিল। আইসিসি কী ভাবছে, সেটাও আমরা দেখছি। আমরা যদি কোনো নিরাপত্তা হুমকি না দেখি বা আইসিসির ইতিবাচক ইঙ্গিত পাই, তাহলে আমরা ভেবে দেখবো। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, পাকিস্তানে এখনই আমাদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ইচ্ছে নেই।’

এসিসির সভাপতি হিসেবে পাক-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক উন্নয়নে তার ভূমিকা কি হবে? এমন প্রশ্ন উঠলে নাজমুল হাসান পাপন স্বীকার করেন, সভাপতি হিসেবে পাক-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা তার দায়িত্ব ও কর্তব্যর মধ্যে পড়ে। এবং তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এই দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ককে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখার।

দীর্ঘ রাজনৈতিক শত্রুতা, বৈরিতা আর দ্বন্দ্ব-বিবাদ দূর করে ভারত ও পাকিস্তানের আরও বেশি করে ম্যাচ খেলার প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেন বিসিবি ও এসিসি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে (এসিসির সভাপতি হিসেব পাক-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা) আসলে দুটি জিনিস; প্রথম কথা হলো, আমি চাই খেলা খেলার জায়গায়ই থাকুক। ভারত-পাকিস্তান খেলা এখনো সবচেয়ে ‘মোস্ট ভিউড’ ম্যাচ। এই কথা চিন্তা করলে ওদের খেলা হওয়া উচিত। এ ছাড়া উপমহাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার জন্য ওদের খেলা হওয়া উচিত বলে মনে করি। আমাকে যদি বলেন, এটা বড় একটা ইস্যু, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। তবে ওদের খেলা হবে, এটা আমি নিশ্চিত। ভারতের বোর্ডও খেলতে চায়, খেলোয়াড়রাও চায়। কিন্তু কিছু ব্যাপার আছে, যা শুধু ক্রিকেট বোর্ডগুলো সমাধান করতে পারবে না।’

Advertisement

এআরবি/এমএমআর/পিআর