খেলাধুলা

এই হেটমায়ারের সাথে তো মিরাজের পুরনো শত্রুতা!

টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোরকার্ড জানান দেবে কোনো ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবীয়রা, দুই ম্যাচই হেরেছে তিনদিনের মধ্যে। একই সাথে স্কোরকার্ড আরেকটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেই পাওয়া যাবে দলের সবার ব্যর্থতার মাঝেও একাই লড়েছেন ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি শিমরন হেটমায়ার।

Advertisement

লড়েছেন বললে কম বলা হবে, আসলে ব্যাট হাতে তিনি তো দুই দল মিলিয়েই এ সিরিজের নায়ক। দুই ম্যাচের চার ইনিংসে হাঁকিয়েছেন দুইটি ফিফটি, করেছেন সর্বমোট ২২২ রান। যা কি-না সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চেয়ে ৫২ বেশি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা- দুই ম্যাচের চার ইনিংসেই ক্যারিবীয়দের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধ গড়া একমাত্র ব্যাটসম্যান হেটমায়ার। এমনকি নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়েও ঢাকা টেস্টে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৯৩ রানের ইনিংস।

তবু একটি জায়গায় চার ইনিংসেই আটকা পড়েছেন হেটমায়ার। সেই দেয়ালের নাম মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচের চার ইনিংসেই তাকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিরিয়েছেন দীর্ঘদিনের পরিচিত মিরাজ।

Advertisement

মিরাজ ও হেটমায়ারের পরিচয়টা সেই ২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে। এরপর দুজনই খেলেছেন ২০১৬ সালের যুব বিশ্বকাপেও। দুজনই নেতৃত্ব দিয়েছেন নিজ নিজ দলের। সেবার মিরাজের বাংলাদেশকে সেমিতেই বিদায় করে দিয়েছিল হেটমায়ারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরেও আরও বেশ কয়েকবার হেটমায়ারের মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ।

সে অভিজ্ঞতাই এবারের সিরিজে কাজে লেগেছে বলে জানান বাংলাদেশ দলের ২১ বছর বয়সী অফস্পিনার মিরাজ। সিরিজ শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই ম্যাচের চার ইনিংসেই হেটমায়ারকে আউট করার রহস্য জানতে চাওয়া হলে মিরাজ বলেন, পুরনো পরিচয় থাকার কারণেই হেটমায়ারের বিপক্ষে সফল হয়েছেন তিনি।

মিরাজের ভাষ্যে, ‘আমি তার (হেটমায়ার) সাথে সেই যুব দল থেকে খেলছি। দুইটা অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। এরপর ইন্টারন্যাশনালেও কয়েকবার খেললাম। আমি আসলে তার সম্পর্কে অনেক বেশি জানি, আমার ধারণা পরিষ্কার। কাজেই ওর সময় পরিকল্পনা করা সহজ হয়েছে। এজন্য সাফল্যও এসেছে।’

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগেই দিয়েছেন চার স্পিনার খেলানোর ব্যাখ্যা। তার কথায় বোঝা গিয়েছিল, আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের লক্ষ্যেই একাদশে রাখা হয়েছে চারজন স্পিনার। তাহলে এবার জানা যাক, সেই চার স্পিনারের একজন এই তত্ত্বের ব্যাপারে কি ভাবেন?

Advertisement

এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন যে, দুই দিক থেকেই কিন্তু বোলিং করতে হয়। দুজন বল করতে থাকলে একটা সময় কিন্তু একজন ক্লান্ত হয়ে যায়। কাজেই চারটা স্পিনার নেওয়ার কারণ হলো ঘুরে ফিরে একজন বিশ্রাম দিয়ে আবার বল করানো যায়। তাহলে যোগাযোগ ভালো হয়। এইজন্যই হয়ত অধিনায়ক পরিকল্পনা করেছেন।’

এসএএস/এমএমআর/জেআইএম