>> বিএনপিসহ চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল>> ২ আসনে একজন ও ৬- এ তিনজন বাতিল>> বাকি চার আসনে সবাই টিকেছেন
Advertisement
খুলনায় ছয়টি আসনে চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে খুলনা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলটির জেলা সভাপতি শফিকুল আলম মনা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত কুমার বাইন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের ও খুলনা-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এরশাদুজ্জামান ডলারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই খুলনার রিটার্নি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। সকালে খুলনা-১, ২ ও ৩ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হয় এবং দুপুরের পরে খুলনা-৪, ৫ ও ৬ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। এবার খুলনার ছয়টি নির্বাচনী আসনে ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও বৈধতার লড়াইয়ে টিকে আছেন ৪৭ জন।
খুলনা- ১ থেকে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপির আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির সুনিল শুভ রায়, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবু সাইদ, স্বতন্ত্র ননী গোপাল মন্ডলসহ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাতজন প্রার্থী। যাচাই-বাচাই শেষে তাদের মনোনয় বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
খুলনা-২ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ৯ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এস এম ইসলাম আলী, গণফ্রন্টের মনিরা বেগম, জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু, কমিউনিস্ট পার্টির এইচ এম শাহাদত, বিএনএফ'র এসএম সোহাগ। তাদের মনোনয়নয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবকের ভোটার অন্য আসনের হওয়ায় জাতীয় পার্টির এরশাদুজ্জামান ডলারের প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
খুলনা- ৩ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাতজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্নুজান সুফিয়ান, বিএনপির আরিফুর রহমান মিঠু ও রকিবুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মিল হক। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আ ফ ম মহসিন, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনাতন দত্তসহ সাতজন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাচাই শেষে সবাইকেই বৈধ ঘোষণা করা হয়।
খুলনা-৪ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ৯ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শিদি, বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল ও শরিফ শাহ কামাল তাজ, জাতীয় পার্টির হাদিউজ্জামান, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের ইউনুস আহমেদ শেখ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এস এম ইসলাম আলী, জাকের পার্টির আনসার আলী, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কে এম আলী দাদ, বিএনএফ'র সেখ হাবিবুর রহমান ও খেলাফত মজলিশের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রয়েছেন। তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-৫ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন সাতজন। আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিএনপির মামুন রহমান ও গাজী আব্দুল হক ও মিয়া গোলাম পরোয়ার, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চিত্ত রঞ্জন গোলদার, জাতীয় পার্টির মো. শহীদ আলমসহ সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
খুলনা-৬ থেকে আওয়ামী লীগের আকতারুজ্জামান বাবু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (জামায়াত), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, জেএসডির আইয়ুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ, সিপিবি’র সুভাষ চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মির্জা গোলাম আযম, জাকের পার্টির শেখ মোর্তজা আল মামুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে এ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল আলম মনা একজন ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তিনি ঋণগ্রহীতার ঋণ খেলাপির অভিযোগে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থিত ভোটারদের নামের তালিকায় গড়মিল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত কুমার বাইন সমর্থিত ভোটারদের নামের তালিকায় গড়মিল মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে খুলনা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এরশাদুজ্জামান ডলারের প্রস্তাবকের ভোটার অন্য আসনের হওয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
তবে যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে আগামী তিনদিনের তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আলমগীর হান্নান/জেডএ/পিআর