প্রথম ঘটনাটি হলো একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের। মহাআনন্দে বিয়ের আনন্দে ব্যস্ত সবাই। বরপক্ষ চলে এসেছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও প্রায় শেষ। দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো এক নারীর। ওই নারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। পথে মোটরসাইকেলে করে দুজন চোর তার মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেল। ঘটনা দুটির মধ্যে আদতে কোনো মিল নেই। তাহলে ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক এবার।
Advertisement
এই দুই ঘটনা আপাত পৃথক হলেও বিয়ে বাড়িতে যখন দুই ঘটনার সন্ধি তখন সবার চোখ কপালে। কেননা গত দিন যে দুজন ওই নারীর মোবাইল চুরি করেছে তাদের একজন যে খোদ বর নিজেই। আর অপরজন হলো বরযাত্রী হয়ে আসা তার বন্ধু। তদন্ত শেষে পুলিশ বিয়েবাড়ির অতিথিদের অবাক করে দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল বরকে। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও শেষ। গত সোমবার সকালে ভারতের মুম্বাইয়ের শিবাজি নগরের বাসিন্দা অজয় সুনীল ধোটে বান্দ্রা কোর্টে বিয়ে করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের ভিড়ে সন্ধ্যা থেকে জমজমাট বিয়ে বাড়ি। বিয়ের মধ্যমণি বর অজয়। সঙ্গে তার বন্ধু আলতাফ মির্জা। খাওয়া-দাওয়া, আদর-আপ্যায়ন, আচার-অনুষ্ঠান সবই চলছিল নিয়ম মেনেই কিন্তু আচমকা এ ঘটনায় সবাই হতবাক।
অন্য দিকে গত রোববার ওই নারী স্থানীয় তানায় অভিযোগ করেন, মেয়েকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে বলছিলেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে মোটরসাইকেলে করে দুইজন চোর এসে তার মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার তদেন্তে প্রথমে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। কারণ, ওই এলাকার গোপন ক্যামেরায় (সিসিটিভি) ঠিকমতো ধরা পড়েনি ওই দুই ছিনতাইকারীর চেহারা। কারণ তারা দুজনেই হেলমেট পরে ছিল। মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের উপর টেপ লাগানো ছিল। তবু হাল ছেড়ে না দিয়ে স্থানীয় ছিনতাইকারী ও নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে এক মোবাইল ছিনতাইকারী জুটির সন্ধান পায় তারা। সেই অনুযায়ী ঠিকানাও পেয়ে যান তারা। অবশেষে পরের দিনই দুই ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ।
Advertisement
কিন্তু ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে পুলিশ তো হতবাক। কারণ, যে ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ হাজির হয়, সেখানে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারা মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে বর অজয় সুনীলই ওই নারীর মোবাইল ছিনতাইকারী। এ সময় তার সাথেই ছিল তার অপর ছিনতাইকারী আলতাফ মির্জা। ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর বিয়ের আসর থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এসএ/জেআইএম