রাজনীতি

শেরপুরে বিএনপির প্রার্থীসহ সাতজনের মনোনয়ন বাতিল

শেরপুর জেলার তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ২২ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির চার প্রার্থীসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

Advertisement

২ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী এবং তাদের প্রস্তাবক-সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কারণে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিলের কথা জানান রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। এ ছাড়া অন্য ১৫ প্রার্থীর মনোননয়পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে ৯ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির ৩ প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে। চারটি ব্যাংকের ঋণখেলাপির অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এ আসনে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মেয়ে বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থী সানসিলা জেবরিনসহ ৬ প্রার্থীর মনোনয়পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক, জাতীয় পার্টির আলহাজ মো. ইলিয়াছ উদ্দিন কৃষক-শ্রমিক-জনতা পার্টির মো. জহির রায়হান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান, সিপিবির মো. আফিল উদ্দিন।

Advertisement

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ৫ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির একেএম মোখলেছুর রহমান রিপনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মোখলেছুর রহমান রিপন। তবে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রমাণপত্র সংযুক্ত না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে যে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম, বিএনপির অপর দুই প্রার্থী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম হায়দার আলী।

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরোয়ার্দী বাহাদুর ও মো. ইন্তাজ আলী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থিতার জন্য ওই আসনের শতকরা এক ভাগ ভোটারের সমর্থনের ভুয়া স্বাক্ষর সংযুক্ত করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিডিপি) প্রার্থী আবুবকর সিদ্দিক কিংবা তার কোনো প্রস্তাবক-সমর্থক উপস্থিত না থাকায় তার মনোনায়নপত্রও বাতিল করা হয়। এ আসনে যে ৫ প্রার্থীর মনোনয়পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁন, জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, বিএনপির অপর প্রার্থী মেজর (অব.) মাহমুদুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শুরা সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছাত্তার ও জাতীয় পাটির আবু নাসের।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আনার কলি মাহবুব জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে আপিলে বাতিলদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলে তারা বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় স্থান পাবেন।

এনডিএস/জেআইএম

Advertisement