ফরিদপুরের চার আসনে মোট ৪১ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ২১ জনের। রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়।
Advertisement
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ফরিদপুর-৪ আসনে ১০ জন, ফরিদপুর-১ ও ৩ আসনে পাঁচজন করে মোট ১০ জন এবং ফরিদপুর-২ আসনে এক প্রার্থী রয়েছেন।
ফরিদপুর-১ : বোয়লামারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন মৃধা ও কামরুন্নাহার, বিএনএফ’র কামরুল ইসলাম, জাসদের হারুন-অর-রশীদ এবং জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান।
Advertisement
এ আসনে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নে বৈধতা দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মঞ্জুর হোসেন বুলবুল, বিএনপির দুই প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফর ও খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, এনপিপি’র মো. জাকারিয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের ওয়ালিউর রহমান। ফরিদপুর-২ : নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনে সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
বর্তমানে এ সংসদীয় আসনে ছয় প্রার্থীর মনোনয়নে বৈধতা দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বিএনপির শামা ওবায়েদ ইসলাম ও মো. শহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মোস্তফা আমীর ফয়সাল, ইসলামিক আন্দোলনের কে এম সরোয়ার এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। ফরিদপুর-৩ : ফরিদপুর সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসন। এ আসন থেকে মোট ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন- মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এম এ মুঈদ হোসেন খান, মো. বনি আমিন, মীর নিজাম আলী ও মো. ওবায়দুর রহমান।
এ আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও নায়বা ইউসুফ, সিপিবির রফিকুজ্জামান মিয়া এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এম এম নুরুল ইসলাম। ফরিদপুর-৪ : ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ব্যতীত সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে মোট ১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবদুল লতিফ মিয়া, জাকের পার্টির মুহাম্মদ মশিউর রহমান ওরফে জাদু মিয়া, সিপিবির আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল হামিদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন, ফিরোজ কবির চৌধুরী, শাহ্ মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. ইছাহাক মিয়া, এনামুল হক ও কাজী জাফর। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের কাজী জাফরউল্লাহ, বিএনপির শাহরিয়া ইসলাম শায়লা ও খন্দকার ইকবাল হোসেন ওরফে সেলিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক ভাগ ভোটারের তালিকায় গরমিল থাকা, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব না থাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবদুল লতিফ মিয়া, জাকের পার্টির মুহাম্মদ মশিউর রহমান ওরফে জাদু মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফরিদপুরের চার আসনে মনোনয়ন জমা দেয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, ভুল, তথ্য না দেয়া, অসংগতিপূর্ণ তথ্য দেয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকায় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
বি কে সিকদার সজল/এমএআর/পিআর