ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা ঘুষ এবং প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলার তদন্ত চলছে।
Advertisement
রোববার ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, দেশটির বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশন গ্রুপ বেজেকের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লায় প্রধানমন্ত্রী এবং তার স্ত্রীর ইতিবাচক কভারেজের জন্য বেঞ্জামিন এই গ্রুপকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে; তদন্তে তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশের অভিযোগ গঠনের এ সুপারিশ সাজানো; এমনকি তদন্ত শুরুর আগেই এটি ফাঁস হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘মুসলিমদের জন্য তুরস্ক-ইরানের একসঙ্গে কাজ করা উচিত’
Advertisement
‘আমি নিশ্চিত যে, এই মামলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর একই ধরনের উপসংহারে পৌঁছাবেন। এ ধরনের কিছুই ঘটেনি কারণ এমন কিছুই নেই।’
নেতানিয়াহু যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে দেশটির ক্ষমতাসীন চার মেয়াদের এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিতে টিকে থাকাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। ইসরায়েলি রাজনীতিতে তার একক আধিপত্য থাকলেও দেশটির সংসদে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী জোটের একটি আসন হ্রাস হওয়ার পরই পুলিশের নতুন এই সুপারিশ এল।
ইতোমধ্যে ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরো দুই মামলার অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটিতে তার কোটিপতি বন্ধুর কাছে থেকে উপহার গ্রহণ ও অপর একটি দৈনিক সংবাদপত্রকে তার পক্ষে ইতিবাচক প্রচারের শর্তে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নেতানিয়াহু সব অভিযোগে অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : আলজাজিরা, হারেৎজ।
Advertisement
এসআইএস/পিআর