খেলাধুলা

তিন বছরেই সাকিবের পাশে মিরাজ

২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজেই নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট, গড়েছিলেন এক সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। ওই সিরিজে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসে ৬টি করে নিয়েছিলেন ১২টি উইকেট। গড়েছিলেন এক ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডও।

Advertisement

এমন দুর্দান্ত অভিষেকের পর থেকেই টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ডানহাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। মাঝে এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে দেশের ইতিহাসের রেকর্ডবুকে আবারও নিজের নাম তুললেন ২১ বছর বয়সী এ যুবা। সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দুইবার ম্যাচে দশ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব গড়লেন মিরাজ।

তবে একটি জায়গায় সাকিবের চেয়েও এগিয়ে ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রথমবার ম্যাচে দশ উইকেট পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের ৭ম বছরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৪ সালে। সেবার খুলনা টেস্টে দুই ইনিংসেই নিয়েছিলেন পাঁচটি করে উইকেট। পরে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকাতেও একইভাবে ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ দুইবার ম্যাচে দশ উইকেট নিতে এক দশক লেগে গিয়েছিল সাকিবের।

সেখানে মিরাজের এ কীর্তি গড়তে খেলতে হয়েছে কেবল তিনটি বছর। ২০১৬ সালে অভিষেকের পর ২০১৮ সালেই দ্বিতীয়বারের মতো নিলেন ম্যাচে দশ উইকেট। অভিষেক সিরিজের ম্যাচে ১২ উইকেট নেয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি টেস্টে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দশ উইকেট পূরণ করেছেন মিরাজ।

Advertisement

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৭ উইকেট নেয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের প্রথম সাত উইকেটের মধ্যে তিনটিই নেন মিরাজ। পূরণ হয় তার দশ উইকেট। সবিমিলিয়ে ষষ্ঠবার বাংলাদেশের কোনো বোলার ম্যাচে দশ উইকেট নিলেন। সাকিব-মিরাজ দুইবার করে ছাড়াও এনামুল হক জুনিয়র এবং তাইজুল ইসলাম একবার করে ম্যাচে দশ উইকেট নেয়ার কীর্তি দেখিয়েছেন।

বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচে দশ উইকেট নেয়ার কীর্তিগুলো

১/ মেহেদি হাসান মিরাজ - ১২/১৫৯, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০১৬২/ এনামুল হক জুনিয়র - ১২/২০০, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০০৫৩/ তাইজুল ইসলাম - ১১/১৭০, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৮৪/ মেহেদি হাসান মিরাজ - ১০/১০০*, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৮৫/ সাকিব আল হাসান - ১০/১২৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৪৬/ সাকিব আল হাসান - ১০/১৫৩, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ২০১৭

*ম্যাচ চলাকালীন দেয়া পরিসংখ্যান

Advertisement

এসএএস/আইএইচএস/এমএস