বাতিল হয়ে গেছে হিরো আলমের মনোনয়ন। সমর্থকের ভুয়া স্বাক্ষর জমা দেয়ার অভিযোগে তার মনোনয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। এই বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন।
Advertisement
এদিকে মনোনয়পত্র বাতিলের যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন হিরো আলম। তিনি মনে করছেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সেজন্য মনোনয়ন বহাল রাখতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।
রোববার দুপুরে জাগো নিউজকে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আমি সমর্থকের ভুয়া স্বাক্ষর জমা দিয়েছি। এটা সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি সত্যটা যাচাই করতে পারেনি।’
হিরো আলম দাবি করেন, তার নির্বাচনী এলকা বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩০১২৮১। তার এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১২১ জন। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় ৩৫২৪ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি তালিকা যুক্ত করে দিয়েছেন।
Advertisement
হিরো আলম বলেন, ‘৩৫২৪ জন সমর্থকের মধ্য থেকে ১০জন সমর্থকের সঙ্গে কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ৭ জন সমর্থক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে তারা আমাকে প্রার্থি হিসেবে সমর্থন করেন। ৩ জন বলেছেন তারা আমার সমর্থক নয়, তারা স্বাক্ষরও করেনি।
এটা নিয়েই আপত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তারা যাচাই করেনি যে আমার সমর্থকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে মিথ্যে কথা বলানো হয়েছে। এলাকায় কেউ কেউ চায় না আমি নির্বাচন করি। হিংসা জ্বলে পুড়ে মরে তারা আমাকে নিয়ে। তারাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।’
সামান্য এক ডিশ ব্যবসায়ী থেকে তুমুল আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া হিরো আলম বলেন, ‘আমি আদালতে যাবো। আপিল করবো। এলাকার মানুষ চায় বলেই আমি নির্বাচনে এসেছি। আমি একজন মেম্বার। লোকে আমাকে আগেও ভোট দিয়েছে। আমার সমর্থক যে আছে এটা নতুন কিছু নয়। আশা করি আপিল করলে আমার মনোনয়পত্রটি বৈধ বলে স্বীকৃতি পাবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৮ নভেম্বর) বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
Advertisement
এলএ/এমএস