দেশজুড়ে

আয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে জাপা মহাসচিব

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পটুয়াখালী-১ আসনের জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া এবং বিএনপি থেকে সাবেক স্বরষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

Advertisement

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বাৎসরিক আয় ২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৮২ টাকা। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার গুলশান ও বাকেরগঞ্জের বাড়ি যার মূল্য ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৮ হাজার টাকা। তার নামে মোট ৩টি মামলা হলেও পরে তা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে এমবিএ পাস। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা, বাড়ি ভাড়া ও সংসদ সদস্য।

জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বছরে বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ ২ কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার ৫শ টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র/ ব্যাংক আমানত থেকে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ২৩২ টাকা (সুদসহ) এবং সংসদ সদস্য হিসেবে ২৩ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।

অপরদিকে একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়ার বাৎসরিক আয় ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩২ টাকা। হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে এমবিএ পাস। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।

Advertisement

এছাড়া এ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাবেক স্বরষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বছরে আয় ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৪ টাকা আয় দেখিয়েছেন তার হলফনামায়।

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, তার নামে মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার চারটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। একটি শুনানির জন্য ও অপরটি হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে স্নাতক পাস। পেশা হিসেবে তিনি ব্যবসা উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া একই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী বছরে আয় করেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯০ টাকা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে এইচএসসি পাস। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন গৃহিনী।

Advertisement

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/এমএস