রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারঘোষিত সকল ভিভিআইপির নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ব্যবহারের জন্য পিস্তলের যন্ত্রাংশ, গ্রেনেড ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতোমধ্যে গ্লক পিস্তলের (গ্লক-১৭ এবং গ্লক-২৬) ১৬০টি লুমিনাস সাইট, ১০০টি স্মোক গ্রেনেড, ১০০টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং এক হাজার রাউন্ড ৯x১৯ মিমি গোলাবারুদ কেনার অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে এসব আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে সম্মতি জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Advertisement
সম্প্রতি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানির ভ্যাট মওকুফ করে আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর ও অগ্রিম মূল্য সংযোজন কর (এটিভি) মওকুফের শর্তে বলা হয়েছে, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঘোষিত সকল ভিভিআইপির দৈহিক নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত হবে এবং এগুলো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার বা বিক্রি/হস্তান্তর করা যাবে না। আমদানিতব্য পণ্য ‘শুল্ক মূল্যায়ন (আমদানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০০০’ এর আলোকে যথাযথ মূল্যে ও এইচএস কোডে শুল্কায়ন করতে হবে।
শুল্কায়নের আগে পণ্যের স্পেসিফিকেশন ও ঘোষণার যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ‘আমদানি নীতি আদেশ, ২০১৫-২০১৮’ অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য প্রযোজ্য শর্তাদি এ ক্ষেত্রে পরিপালনীয় হবে।
Advertisement
শর্তে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনারের কাছে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে ৩০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। তিনি অঙ্গীকার করবেন যে, এসব যন্ত্র কোনো প্রকার হস্তান্তর, বিক্রি, ভিন্ন ব্যবহার, চুরি বা খোয়া গেলে শুল্ক-করাদি পরিশোধে বাধ্য থাকবেন।
আরএমএম/এসআর/এমএস