আন্তর্জাতিক

নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র-চীন

বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত দুই পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন থেকে নতুন করে একে অপরের বিরুদ্ধে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করবে না বলে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী তিনমাস নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ না করার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। এ সময়ের মধ্যে উভয় নেতা আলোচনা চালিয়ে যেতে চান।

Advertisement

শনিবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে জি-২০ সম্মেলন শেষে উভয় দেশের দুই শীর্ষ নেতা বৈঠকে মিলিত হয়ে সামনের দিনে আরও আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হন। চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো তারা মুখোমুখি হলেন।

বৈঠকের পর চীন জানিয়েছে, তারা ১ জানুয়ারির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছে।

জি-২০ সম্মেলনের আগে ট্রাম্প মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত বাণিজ্যশুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে পারেন এবং এটা জানুয়ারিতেই শুরু হতে পারে। সেপ্টেম্বরে চীনা পণ্যের ওপর ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

হোয়াইট হাউস বলছে, উভয় দেশ নতুন করে বাণিজ্যশুল্ক আরোপ না করার বিষয়ে যে সম্মতি প্রকাশ করেছে তা ৯০ দিনের জন্য বহাল থাকবে। তবে হোয়াইট হাউস এও জিানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘অনির্দিষ্ট তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ’ কৃষি, জ্বালানি, শিল্প ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করবে বলে বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত টিভি চ্যানেল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারির পর উভয় দেশ নতুন করে একে অপরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করবে না। এ ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলমান থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চীনা পণ্যের ওপর ২৫০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরোপ করেছে ১১০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ শুল্ক।

আর্জেন্টিনায় দু'দেশের আলোচনা যদি সফল না হয় তবে বাকি ২৬৭ ডলারের চীনা পণ্যে ১০-২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চলতি মাসে এশিয়ান ইকোনমিক সামিটেও বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

Advertisement

এসআর/টিটিএন/এমএস