খোদাভীরু কিংবা নামাজী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের রয়েছে বেশ সুনাম। পারতপক্ষে কেউই সময়ের নামাজ মিস করেন না। এমনকি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলেও বিরতির ফাঁকে ঠিকই সময় বের করে নামাজ আদায় করে নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
Advertisement
এর ব্যতিক্রম নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজেও। ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি শুরুই হয়েছে শুক্রবার তথা জুমার দিন। স্বভাবতই ম্যাচের চা বিরতির সময় খেলোয়াড়রা সময় করে আদায় করেছেন জুমার নামাজ। কিন্তু এই শুক্রবারের জুমায় ঘটেছে আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।
বাংলাদেশ দলের সাথে এদিন জুমার নামাজ আদায় করেছেন দলের পেস বোলিং কোচ, ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালশও। দলের অন্যদের দেখাদেখি তিনিও নিয়ম মেনেই ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে আদায় করেছেন জুমার নামাজ। শনিবার বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জাগোনিউজকে জানিয়েছেন এ তথ্য।
সাধারণত খেলা কিংবা অনুশীলন থাকলে শুক্রবারের জুমা পড়তে বিসিবির একাডেমী লাউঞ্জে চলে যান ক্রিকেটাররা। সেখানে প্রায় ২০০ জন একত্রে নামাজ পড়তে পারেন। বিসিবির নিয়োগ করা নিজস্ব ইমামই ইমামতি করেন ওই জামাতের।
Advertisement
আগের নিয়ম মেনে এই শুক্রবারও ঠিক করা হয়েছিল দিনের চা বিরতির সময় (বেলা ২টা ১০ মিনিট) একাডেমি লাউঞ্জে জুমার নামাজের সময়; কিন্তু ওই সময়ের কিছুক্ষণ আগে স্থান পরিবর্তন করে ফেলা হয় দল থেকে।
একাডেমি লাউঞ্জের পরিবর্তে জুমার নামাজের ব্যবস্থা করা হয় বিসিবির মূল ভবনেই। ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হাতের ডানদিকে তুলনামূলক ছোট একটি জায়গায় একসঙ্গে ৩৫-৪০ জনের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।
সেখানেই চিরাচরিত প্রথা ভেঙ্গে, দলের সাথে জুমার নামাজ আদায় করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন জ্যামাইকান কিংবদন্তী ও বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। কেন তিনি এমন কাজ করলেন এর কোনো কারণ জানা যায়নি। হয়তো বা কৌতুহল বশতই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে জুমার নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এআরবি/এসএএস/কেএইচ
Advertisement