জাতীয়

শান্তিচুক্তির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে

পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২ ডিসেম্বর (রোববার) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২১ বছর পূর্তিতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা এক জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যময়। আবদুল হামিদ বলেন, দীর্ঘদিন এ অঞ্চলে চলমান রক্তপাত ও সংঘাত নিরসনে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রাখুক -এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisement

এফএইচএস/আরএস