একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ভাগনে এস এম শাহজাদা সাজুর বাড়ির দাম ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার দুটি গাড়ি রয়েছে। একটির দাম ৩১ লাখ ২৭ হাজার টাকা অপরটির দাম ১৪ লাখ টাকা।
Advertisement
নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।
এস এম শাহজাদা সাজুর হলফনামা অনুযায়ী, টাইলস ও সেনিটারি আইটেমের ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৩৬ টাকা, সঞ্চয়/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪১৪ টাকা। সরবরাহকারী কোম্পানির কাছে ব্যবসায়িক ঋণ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পেশা টাইলস ও সেনিটারি আইটেমের ব্যবসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে ইএমবিএ পাস।
হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ব্যাংকে তার নামে ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪১৪ টাকা রয়েছে। আর ব্যবসার মূলধন রয়েছে ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
Advertisement
অপরদিকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া একই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির তিনটি বাড়ির দাম ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ি আছে রয়েছে। যার মূল্য ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। তিনি এবার পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে ধানের শীষে নির্বাচন করছেন।
গোলাম মাওলা রনির হলফনামা অনুযায়ী, সেবল্ট এডজাস্টার্স, সেবল্ট এক্সপ্রেস, সেবল্ট টেক্স লি. থেকে রনির বাৎসরিক আয় ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃষিখাত, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত বাবদ তার কোনো আয় নেই। ৬৯ লাখ ৫ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি আছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মানহানি মামলা হলেও তিনটি হাইকোর্ট থেকে স্থগিত ও অপরটি আপস-মীমাংসায় বাদী কর্তৃক প্রতাহার করা হয়েছে।
হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ব্যাংকে তার নামে ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে। ৯ কোটি টাকা মূল্যের প্রাইভেট কোম্পানির শেয়ার আছে। আর ব্যবসার মূলধন রয়েছে দুই লাখ টাকা। তার স্ত্রীর ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লোন আছে যা নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে।
Advertisement
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর/পিআর