রাজনীতি

ইভিএম বাতিলের দাবিতে বিএনপির স্মারকলিপি

একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। পৃথক আরও একটি স্মারকলিপিতে ওই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. শাহাদাৎ হোসেনসহ তিন নেতার মুক্তির দাবি করা হয়।

Advertisement

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে ও সিইসির কাছে পাঠানোর জন্য পৃথক দুটি স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কেন ইভিএম ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে যে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে তাতে কোনো জায়গায় ইভিএম কখনও কখনও বন্ধ হয়ে গেছে। একজনের ভোট আরেকজন দিয়েছে। কোথাও ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারেও ভোটগ্রহণ করতে হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বিএনপি সন্দেহ করছে- মানুষ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বুঝতে পেরে যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার। এছাড়া চট্টগ্রাম-৯ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিশনের ৬০-৭০ ভাগ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এখনও সব ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছেনি।

Advertisement

পৃথক আরও একটি স্মারকলিপিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের মুক্তি চাওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী এবং সহদফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে লটারির মাধ্যমে এই ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) সংসদীয় আসনটি গঠিত। এই আসনে ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট দুই লাখ ৩৯ হাজার ৯১৪ জন ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট দেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩০ হাজার ১৪৭ এবং নারী ভোটার এক লাখ নয় হাজার ৭৬৭।

Advertisement

আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম