খাশোগি হত্যার সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার ঘনিষ্ট এক উপদেষ্টাকে ১১টি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। গত ২ অক্টোবর হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে সালমান তার গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা আল কাহতানিকে এই বার্তাগুলো পাঠান। সালমানের ওই উপদেষ্টা কিলিং স্কোয়াডের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারীর দায়িত্বে ছিলেন।
Advertisement
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। গত শনিবার মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএর ‘ক্লাসিফায়েড’ মূল্যায়নের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, তারা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই তথ্যগুলোকে তারা বলছে অতিমাত্রার গোপনীয় উদ্ধৃতি। ওইসব গোপনীয় উদ্ধৃতি বিশ্লেষণ দেখা যাচ্ছে ওইদিন যুবরাজ সালমান ও তার উপদেষ্টা কাহতানির মধ্যে এসব বার্তা আদান-প্রদান হয়। তবে বার্তাগুলোতে কি লেখা ছিল তা প্রকাশ করেনি তারা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল্যায়ন করা ওই নোটগুলোতে লেখা আছে, ‘এটা খুব স্পষ্ট যে, যুবরাজ সালমান সরাসরি এ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা আমাদের হাতে এরকম কোনো তথ্য এখনও আসেনি।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খাশোগি হত্যায় জড়িত ১৫ সদস্যের কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্বদানকারী যুবরাজের উপদেষ্টা কাহতানির সঙ্গে ইস্তাম্বুলে অবস্থানকারী কিলিং স্কোয়াড প্রধানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তারা বলছে, ‘আমরা সব কিছু মূল্যায়ন করে এটা ভালোভাবে বুঝতে পারছি যুবরাজ সালমানের অনুমোদন ছাড়া এ হত্যার এরকম একটি অভিযান চালানোর সাহস রাখে না তারা।’
Advertisement
খাশোগি হত্যার পর ঘটনার তদন্ত শেষে সিআইএ বলেছিল, এ হত্যার পেছনে রয়েছে সৌদি রাজতন্ত্রের উপরমহলের কর্তাব্যক্তিরা। তাদের ধারণা রাজতন্ত্রের ওই বড়কর্তা হলেন যুবরাজ সালমান। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএর এই তদন্তের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এসএ/পিআর