বান্দরবানে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে এক আদিবাসী ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে। এর আগে গত সোমবার উপজেলার লামা গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এরপর সুস্থ হয়ে সে মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে যায়। এসময় সেখানকার অফিস সহকারী নুর মোহাম্মদ, শাহ আলম এবং স্থানীয় যুবক মো. সেলিম তাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে মেয়েটির স্বজনরা।এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে। আরো জানা যায়, রাতে মেয়েটি তার মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে মেয়েটির আত্মীয় উইলিয়াম বাদী হয়ে লামা থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পরে লামা থানা পুলিশ রাতেই মো. নূর মোহাম্মদকে আটক করেন।এদিকে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহামুদ কিশোরীটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মেয়েটি তিনজনের হাতে ধর্ষণ হওয়ার ঘটনা জানিয়েছে। তিনজনের মধ্যে দুইজন হাসপাতালের অফিস সহকারী। গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জনান, ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পলাতক দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।সৈকত দাশ/এমএএস/আরআইপি
Advertisement