জাতীয়

বিবাদের মধ্যে তাবলিগের দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিবদমান অবস্থানের মধ্যে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

Advertisement

শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিপন্থী বাংলাদেশে তাবলিগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এবং তাদের বিরোধী কওমিপন্থী মাওলানা জুবায়েরের পক্ষ থেকে তাবলিগের উপদেষ্টা মাওলানা আশরাফ আলী ও আবদুল কুদ্দুসসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

দুই পক্ষের বিবাদের কারণে পূর্ব ঘোষিত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যেই শনিবার টঙ্গীতে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ উপস্থিত রয়েছেন।

Advertisement

বেলা ৩টায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ আসতে দেরি করে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সভাস্থলে আসেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা জুবায়ের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ বিকেল পৌনে ৫টায় আসলে বৈঠক শুরু হয়।

মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দেন। জোবায়েরপন্থী মুসল্লিরা গত বুধবার রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের ভেতরে অবস্থান নেয়। তারা শুক্রবার সকালে ইজতেমা ময়দানে ঢোকার সব গেট বন্ধ করে দেয়। বাইরের সাধারণ মুসল্লিদেরও ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করতে দেয়া হয়নি। শনিবার সাদপন্থী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement