সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা। জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজের ভোট নিজে দিতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
Advertisement
শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। তাই মৌলিক অধিকার রক্ষায় জনগণকে সতর্ক হতে হবে, ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। আপনারা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাবেন। একই সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশীদের সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। যেন সবাই নিজের ভোট সুস্থভাবে দিতে পারেন।
কামাল হোসেন বলেন, জনগণ দেশের মালিক। ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে জনমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জনগণের (রিকশা চালক থেকে শুরু করে ভূমিহীন কৃষক সে যেই হোক) মতামতের ভিত্তিতেই এবং সংবিধান শতভাগ মেনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, কেয়ারটেকার গভমেন্ট কেন করা হয়েছিল? ১৯৯৬ সালে বিএনপি নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতে। সেবার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হলো আদালতের রায়ে। তবে রায়ে এও বলা হয়েছিল আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু সরকার তা করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেনের পক্ষে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রুত চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার রাতে গুলশানে এক বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে থাকতে না পারে, নির্বাচনে তারা যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই পুরনো কায়দায় মিথ্যা মামলায় যাদের আসামি করা হচ্ছে, তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করছে, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা প্রার্থী তাদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচনের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তার ন্যূনতম অবস্থা এখন নেই। তাই এগুলো জাতির কাছে তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।’
এসআই/এআর/এএইচ/পিআর