দেশজুড়ে

টঙ্গীতে তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমা আয়োজনকে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইসমাইল মণ্ডল (৬৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত তিন শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিহত ইসমাইল মণ্ডল মুন্সীগঞ্জের মিলিয়াপাড়া গ্রামের খলিল মণ্ডলের ছেলে ও মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারী।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মাথা ও শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি ইজতেমা ময়দানেই প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন।

Advertisement

ইজতেমা সূত্র এবং স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ- এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সাদপক্ষের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাদপক্ষের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পশ্চিম লেনে অবস্থান নেয়। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদপক্ষের মুসল্লিরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুবায়ের পক্ষের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।

ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৫ মুসল্লি

সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৩৫ মুসল্লি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি রাখা হয়েছে।

Advertisement

তারা হলেন, বেলাল হোসেন (৫৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের (৪৫) এক ব্যাক্তি।

আহত অন্যরা হলেন, নুর হোসেন (১৮), গোলাপ মিয়া (৪১) আব্দুল্লাহ (২৩) মোজাম্মেল হক (২০) ইসহাক আলী (২০) শামীম হোসেন (১৯) আনিছুল হক (২৫) মাইনুদ্দিন (২১) আলমগীর হোসেন (৪৬) জসিম উদ্দিন (৫০) মাকসুদুর রহমান (২৫) হাসান আলী (৩৫) শাকিল (২৫) ইব্রাহীম (৪৫) ওমর ফারুক (৫০) নুরুল আলম (২৫) ফয়সাল (২২) মোহাম্মদ হোসেন (২৩) শাহিন (১৯) শামিম হোসেন (২০) মহিউদ্দিন (২০) আনিছুর রহমান (২৬) সরোয়ার হোসেন (৫৫) ইমাম হাসান (৪৫) বোরহান উদ্দিন (২০) সহ আরো অনেকেই।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মুসল্লি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম/জেইউ/এআর/এএইচ/আরএআর/জেআইএম