প্রথম দিনে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ মোটামুটি ভালো অবস্থানে থাকলেও জুটি গড়ে ভালো খেলা হচ্ছিলো না ব্যাটসম্যানদের। দিন শেষে সাদমান ইসলামও জানিয়েছিলেন বড় জুটির অভাবের কথা। দ্বিতীয় দিন সকালে সে কথাই যেন রাখলেন দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান।
Advertisement
দিনের শুরুতেই সাকিব ও রিয়াদের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রেখে খেলতে পারছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ছয় ওভারেই ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শতরান করে ফেলেছেন সাকিব ও রিয়াদ। কিন্তু এর পর আর বেশিক্ষণ থাকা হয়নি টাইগার অধিনায়কের।
দিনের ৭ম এবং ইনিংসের ৯৭তম ওভারে ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচের অফস্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ধরা পড়ে গিয়েছেন সাকিব। দলীয় ৩০১ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৬ চারের মারে ১৩৯ বলে ৮০ রান করেছেন তিনি। ৪৭ রানের অপরাজিত রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম দিন ১১৩ বল খেলে ৫৫ রান করার পথে মাত্র একটি চার মেরেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার দলও পুরো দিনের ৯০ ওভারে সীমানা ছাড়া করেছিল মাত্র ১০টি বল। কিন্তু দ্বিতীয় দিন সকালেই বদলে গেল দৃশ্যপট। সাকিব তার নিজের ও দলের আগের দিনের বাউন্ডারি খরা কাটিয়ে দিলেন দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভার থেকেই।
Advertisement
দিনের প্রথম ওভারে কেমার রোচকে একটি, পরের ওভারে রস্টোন চেজকে একটি, দিনের চতুর্থ ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি চার মারেন সাকিব। দিনের শুরুর ৪ ওভারেই ২৭ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ২৩ রানই করেন সাকিব। চার ওভারের মধ্যেই পৌঁছে যান ৭৮ রানে।
সে তুলনায় দিনের শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কয়েকবার লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন ও একবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। অবশেষে দিনের পঞ্চম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন মাহমুদউল্লাহ।
তার এই বাউন্ডারিতেই পূরণ হয় দুজনের শতরানের জুটি। ৬৮তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর দুজন মিলে জুটি বাঁধেন। ১৬৬ বল খেলেই নিজেদের জুটিতে শতরান করে ফেলেন সাকিব ও রিয়াদ।
এসএএস/এমএস
Advertisement