জাতীয়

সিয়াটলের পেনফিল্ড ছেড়েছে বিমানের ড্রিমলাইনার

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের পেনফিল্ড এয়ারপোর্ট ছেড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’।

Advertisement

উড়োজাহাজটি বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল সাড়ে ১১টায় রওনা হয়। বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াটার কেননের সেল্যুটের মাধ্যমে ড্রিমলাইনার হংসবলাকা বিমানটিকে স্বাগত জানানো হবে।

ড্রিমলাইনারটি নিয়ে উড্ডয়ন করেছেন ক্যাপ্টেন স্মোলেস্কি ও সিনয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীসহ ক্যাপ্টেন আমিনুল ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা। তারা ১৫ ঘণ্টা উড়িয়ে বিমানটিকে দেশে নিয়ে আসছেন।

Advertisement

ড্রিমলাইনার ৭৮৭ হংসবলাকা দেশে রওনা হওয়ার আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বোয়িং সদর দফতরের পেনফিল্ড বিমানবন্দরে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ড্রিমলাইনারটির চাবি ও মালিকানা বুঝিয়ে দেন বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেফ ক্লিম্যান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং ডেলিভারি সেন্টারে অবস্থানরত বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ রাতে সিয়াটল থেকে উড্ডয়নের আগে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিমানের পরিচালক (অপারেসন্স) ক্যাপ্টেন জামিল ও বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) শাকিল মেরাজ, অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান এইএসবিসি ব্যাংকের ডেপুটি সিইও মাহবুবুর রহমান, বিমান পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার তানজিবুল আলমসহ অর্থ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

Advertisement

এর আগে, দেশের প্রথম ড্রিমলাইনার আকাশবীণা এ বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছিল। এটি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ৬৫ ইঞ্চি পিচ, ইকোনমি ক্লাসেরগুলো ৩১ ইঞ্চি পিচ। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন। দু’পাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একইসঙ্গে জানালার শাটার বন্ধ করাও খোলা যাবে বোতাম টিপে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম। ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ সময় ভ্রমণেও যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন সেজন্য এর ভেতরে এয়ার কম্প্রেসার সিস্টেম অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় উন্নত।

আরএম/এমবিআর/এমএস