গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের (২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর) মধ্যে তিন কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এ সপ্তাহে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
Advertisement
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৬১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ।
Advertisement
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১১৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৫২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ হলো গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮২ দশমিক ৫৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ ‘বি’ক্যাটাগরিভুক্ত, ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ ‘জেড’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
Advertisement
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সায়হাম টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৯৪ কোটি ১ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- এসকে ট্রিমস, ইনটেক লিমিটেড, সায়হাম কটন, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, কাট্টালি টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
এমএএস/এনডিএস/পিআর