১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার মনোনয়নপর্ব শেষে দেয়া হবে। মনোনয়ন পর্ব শেষে ইশতেহারের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব। সম্ভবত বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ইশতেহার প্রকাশ হতে পারে। নির্বাচনী ইশতেহারে দিন বদলের অভিযান, অদম্য বাংলাদেশ গ্রামীণ উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের ভুল-ক্রুটি থাকতে পারে। আমরা ভুল হলে সংশোধন করে নিই। ভুল হলে সংশোধনের সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। আমাদের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য। আমরা দেশের মানুষের সঙ্গে আছি। তাই ক্ষমতায় না থাকলেও পালিয়ে যাব না। এ দেশেই জন্ম, এদেশেই আমরা মরবো। যে শপথ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা শেখ হাসিনাও এ শপথ নিয়েছেন। ক্ষমতা আল্লাহর হাতে। জনগণের হাতে। ক্ষমতার দাপট আমরা কোনো দিন দেখাইনি। আমাদের ভুল-ক্রটি হতে পারে। এত বড় দল।
Advertisement
সরকারের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকলেও কোনো মেগা প্রজেক্ট উপহার দিতে পারেনি; বরং অদূরদর্শীতায় দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেয়া নেতারা ঐক্যফ্রন্টে গিয়ে জেনে শুনে বিষ পান করেছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিব কোট পরা ঐক্যফ্রন্টের যে নেতারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে, তারা তো আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থাকবে। তারা তো জেনে শুনে বিষ পান করেছেন। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটা তাদের দীর্ঘদিন তাড়িত করবে।
মনোনয়নের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এবার দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদেরই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। সাবেক ছাত্র নেতা, যারা তৃণমূল থেকে এসেছে তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সর্বমোট আসন সংখ্যার মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া ৪০ জনের কাছাকাছি মুক্তিযোদ্ধা, আর নতুন মুখ ৫০ এর কোঠা ছুঁতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না, কে বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী হলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
Advertisement
এইউএ/এনএফ/এমএস