আইন-আদালত

দণ্ডিতদের ভোটের পথ আটকাতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সকাল ১০ টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও বিশেষভাবে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ আমরা স্থগিত চেয়ে আবেদন তৈরি করেছি। আবেদনটি শনিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে দাখিল ও শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিন সকাল ১০টায় আমাদের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

সরকারি ছুটির দিন অর্থাৎ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে কোনো আইনগত বাধা রয়েছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌঁসুলি জানান, চেম্বার আদালত যেকোনো দিন যেকোনো প্রয়োজনে বসতে পারে। এখানে কোনো আইনি বিধি-নিষেধ নেই। তা ছাড়া আমরা ইতোমধ্যে মামলার উভয়পক্ষকেই শুনানিতে থাকার জন্য অবহিত করেছি।

Advertisement

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেন বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই আদেশের পর থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা হাইকোর্টে সাজা বা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

তবে গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সংবিধান অনুসারে ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হবেন। তাই হাইকোর্টের এই একক বেঞ্চের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিলে যাবো।

তবে, এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এক পর্যবেক্ষণে বলেন, দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড চূড়ান্তভাবে বাতিল বা স্থগিত হয়।

Advertisement

এফএইচ/এনএফ/এমএস