ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সুতপা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
বেশ কিছুদিন ধরেই এই শিক্ষক দম্পতি তাদের গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার মেয়েটি আবারও মারধরের শিকার হয়ে বাসা থেকে পালিয়ে উদয়ন স্কুলের ভেতরে গিয়ে লুকায়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বর্তমানে উদয়ন স্কুলের অধ্যক্ষ উম্মে সালমা বেগমের বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হেফাজতে আছে।
Advertisement
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত। ওই শিক্ষক কেন এ ধরনের কাজ করেছেন, তা দেখা হচ্ছে। শিশুটি এখন নিরাপদে আছে। আমাদের তত্ত্বাবধানে তাকে রেখেছি।’
তবে অভিযুক্তরা নিজেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কেউই এ নিয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গৃহকর্মী কয়েক বছর ধরে গোবিন্দ চক্রবর্তী ও সুতপা ভট্টাচার্য দম্পতির বাসায় কাজ করছে। তাকে বিভিন্ন সময় এই দুই শিক্ষক নির্যাতন করতেন। ঠিকমতো খাবারও দেয়া হতো না তাকে। বাসায় আটকে রাখা হতো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আনিতাকে (গৃহকর্মী) যখন মারধর করা হতো, আমরা এর প্রতিবাদও করেছি। আনিতার নাম নিয়েও তাদের আপত্তি ছিল। কাজের মেয়ের নাম কেন এত আধুনিক হবে! এটা নিয়ে তারা ওই শিশুকে খোটা দিতেন। তাকে তিন বেলা খেতে না দিয়ে একবেলা খেতে দিতেন। শিশুটিকে দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।’
Advertisement
এমএইচ/এনএফ/এমএস