আইন-আদালত

অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে হাফিজ ইব্রাহিমের আপিল

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বির্তকিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম।

Advertisement

এদিকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া রায়টিও ইতোমধ্যে বের হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বৃহস্পতিবার তিনি জানান, হাইকোর্টের দেয়া রায়ে থাকা ৫০ লাখর টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন হাফিজ ইব্রাহিম। এরপর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়টিও বের হয়েছে।

খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারিক আদালত হাফিজ ইব্রাহিমকে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় ১০ বছর দণ্ড দেন। এ ছাড়া আইনের ২৬ (২) ধারায় তিন বছরের দণ্ড ও জরিমানা করেন। কিন্তু হাইকোর্ট বিভাগ ২৭ (১) এর দণ্ড বাতিল করেছেন। আর ২৬ (২) এর দণ্ড বহাল রেখেছেন। তবে তিনি এই মামলায় কিছুদিন সাজা খাটায় বাকিগুলো আর খাটতে হবে না। কিন্তু বহাল রেখেছেন ৫০ লাখ টাকার দণ্ডও।

Advertisement

তিন বছরের দণ্ড বহাল রাখায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান বলেন, ২৭ তারিখ হাইকোর্টের দেয়া আদেশের মধ্যে উনিও পড়তে পারেন বলে মনে হচ্ছে। তবে তিনি অর্থদণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। যেটা এখনও শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়নি।

২৭ তারিখের এক আদেশে সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্ট অভিমত দিয়েছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ২০০৮ সালের ১৯ জুন হাফিজ ইব্রাহিমকে মোট ১৩ বছরে কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। আপিলের পর হাইকোর্ট হাফিজ ইব্রাহিমকে খালাস দেন।

খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের পর আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির জন্য হাইকোর্টে পাঠান। এর বিরুদ্ধে হাফিজ ইব্রাহিম রিভিউ করলে সেটিও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

Advertisement

পরে আপিল বিভাগের আদেশ মতে হাইকোর্ট বিভাগে এ মামলার পুনঃশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম