চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬ নিশ্চিতই ছিল। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি আসলে বার্সেলোনার জন্য ছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই। কোনো ম্যাচই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বার্সা ম্যাচটিকে গুরুত্ব দিয়েই খেলেছে। পিএসভির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে 'বি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয়পর্বে নাম লিখিয়েছে আরনেস্তো ভালভার্দের দল।
Advertisement
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছে পিএসভি। প্রথমেই এগিয়েও যেতে পারতো তারা। ৪ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক থেকে গ্যাসতোন পিরেইরোর দুর্দান্ত এক শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণভাবে রক্ষা করেন বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগান। কয়েক সেকেন্ডের মাথায় আরও একটি সেভ করেন তিনি।
ম্যাচের আধা ঘন্টা পেরোনোর পর বার্সেলোনা স্বরুপে দেখা দেয়। প্রথমার্ধের আগে লিওনেল মেসির বেশ কয়েকটি আক্রমণ রুখে দেয় পিএসভি। তবে বিরতির পর আর আর্জেন্টাইন জাদুকরকে আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৬১ মিনিটে ডি বক্সের ডানদিকে ঢুকে পড়ে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে জাল কাপান মেসি। এরপর দ্বিতীয় গোল পেতে সময় লাগেনি বার্সার। সেই গোলেও অবদান মেসিরই। ৭০ মিনিটে তার সেট পিস থেকে বল পেয়ে চোখের পলকে সেটা গোলে পরিণত করেন জেরার্ড পিকে।
Advertisement
ম্যাচের ৮২ মিনিটে এসে সান্ত্বনার গোল পায় পিএসভি। অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস থেকে বল পেয়ে তাতে দারুণ হেডে গোল করেন লুক ডে জং।
ম্যাচ শেষেও আলোচনা মেসির সেই সেট পিস নিয়ে। পিকে জানান, তারা এটা অনুশীলন করেছিলেন। তবে মেসি বলছেন ঠিক উল্টোটা। তার দাবি, ভাগ্যের সহায়তায়ই হয়েছে এই গোলটি।
মেসি বলেন, 'এটা আমরা আগে থেকে প্র্যাকটিস করিনি। সেটা বললে মিথ্যা হবে। এটা এমন একটা ফ্রি-কিক ছিল, যেটা পিকের কাছে গিয়ে পড়ে। গোলটা শুধু ভাগ্যের সহায়তায় হয়েছে।'
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে 'বি' গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউটে উঠেছে বার্সেলোনা। ৫ ম্যাচে সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে টটেনহাম আর ইন্টার মিলান। পিএসভি সবার নিচে।
Advertisement
এমএমআর/আরআইপি