গত ২৩ নভেম্বর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ন্যাক্কারজনকভাবে মারামারি করায় বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হলেন আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের চার ফুটবলার। সবচেয়ে বড় শাস্তি দেয়া হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরাকে। তাকে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশপাশি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Advertisement
একই দলের স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ ও আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধের পাশপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২ ম্যাচ। বুধবার বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফেডারেশন কাপের ফাইনালের ৮৮ মিনিটের সময় বল দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে প্রথমে সুশান্ত ও জীবন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শুরুটা হয় কিল-ঘুষিতে। পরে জীবনকে লাথি মারেন সুশান্ত। দুর থেকে দৌড়ে এসে সুশান্তকে ফ্লাইং কিক মারেন মামুন মিয়া। মারামারির শেষ চরিত্র ছিলেন তৌহিদুল আলম সবুজ। তিনি দৌড়ে গিয়ে ঘুষি মারেন মামুন মিয়াকে।
ফাইনালের রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদন এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরগুলোর উপর ভিত্তি করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে খেলোয়াড়রা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন।
Advertisement
শাস্তির কথা জানার পর আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা যে অন্যায় করেছি তার জন্য তো লাল কার্ড দেয়া হয়েছে। এখন যে শাস্তি দিয়েছে তা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমাকে কঠোরভাবে সতর্ক করলেই পারতেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করি। শাস্তি একটু কম হলে ভালো হতো। সত্যি কথা বলতে কী, ওই দিনের ঘটনার জন্য আমি সারা জীবন অনুতপ্ত থাকবো। এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে অনুতাপের ঘটনা।’
এদিকে ৮ নভেম্বর আবাহনীর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে রেফারিকে মারধর করেছিল আরামবাগের ম্যানেজার ও দুই বলবয়। ডিসিপ্লিনারি কমিটি ওই ঘটনার জন্য আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। দুই বল বয়কে নিষিদ্ধ করেছে আজীবন। আর ম্যানেজার একেএম রাশেদুল হক সুমনকে ১ বছর নিষেধাজ্ঞার পাশপাশি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement