আল্লাহ তাআলার সামনে নিজেকে সমর্পণ করার অন্যতম মাধ্যম হলো নামাজ। তাই নামাজে দাঁড়ানোর আগে দুনিয়ার যাবতীয় সমস্যা ও ব্যক্তিগত হাজত থেকে পরিপূর্ণ মুক্ত হওয়া আবশ্যক।
Advertisement
অতিমাত্রায় ক্ষুধা ও পিপাশা নিয়ে যেমন নামাজে দাঁড়ানো ঠিক নয় তেমনি খাবার গ্রহণের সময় চাহিদা পূরণ হওয়ার আগে তা ত্যাগ করে নামাজে দাঁড়ালেও নামাজে একাগ্রতা আসবে না।
নামাজি ব্যক্তি যাতে খাওয়া-দাওয়া কিংবা ইসতেনজার হাজত পূরণ করে অথবা দুনিয়ার কাজের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে নামাজে অংশ গ্রহণ করতে পারে। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি বর্ণনা করেন-
হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, যখন আজান দেবে, ধীরে ধীরে দীর্ঘস্বরে দেবে এবং যখনই ইকামত বলবে, তাড়াতাড়ি নিম্নস্বরে বলবে এবং তোমরা আজান ও ইকামতের মধ্যে এ পরিমাণ সময়ের ব্যবধান রাখবে, যাতে ভোজনরত ব্যক্তি ভোজন থেকে, পানরত ব্যক্তি পান করা থেকে এবং পায়খানা-প্রস্রাবে রত ব্যক্তি তার কার্য শেষ করতে পারে এবং তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াবে না, যতক্ষণ না আমাকে (মসজিদে) দেখ।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
Advertisement
হাদিসের আলোকে পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজে দাঁড়ানো কোনোভাবেই ঠিক নয়। কেননা তাতে নামাজির মধ্যে অস্বস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাই নামাজের সময় হওয়ার আগেই তা থেকে নিজেদের মুক্ত করে নেয়া জরুরি।
আরও পড়ুন > মসজিদে নববির সবুজ গম্বুজের অজানা তথ্য
এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াজ্জিনকে দীর্ঘ ও ধীরে ধীরে আজান দেয়ার নসিহত পেশ করেছেন। আজান ও ইকামতের মধ্যে বেশ কিছু সময় বিরতি দেয়ার কথা বলেছেন।
সুতরাং মাগরিবের নামাজ ব্যতিত প্রত্যেক নামাজের সময় এ পরিমাণ সময় রেখে আজান দিতে হবে, যাতে নামাজি ব্যক্তি তার উপস্থিত কাজ বা প্রয়োজন থেকে মুক্ত হয়ে নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ সময় সম্পর্কে সচেতনা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে নামাজের প্রস্তুতি ওজু ও করণীয় সুন্নাত পালনে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম