দুর্নীতির মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
এতে সংবিধান অনুসারে ফৌজদারি অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে এবং রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন থাকলেও দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এই আদেশের ফলে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মো. সেলিমের নির্বাচনের পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ বলে আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে আজ জাহিদ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিএনপির পাঁচ নতোর পৃথক পাঁচটি আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
পৃথক পাঁচটি দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা হয়েছিল। পাঁচ নেতা হলেন আমান উল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মসিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাব। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচ নেতা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।
দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে দণ্ড স্থগিতের সুযোগ নেই। দণ্ডিত ব্যক্তি সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলে তার জরিমানা স্থগিত হতে পারে। তিনি জামিনে থাকতে পারেন। সাজাও স্থগিত হতে পারে। তবে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সাজা স্থগিত হলেও আপাতদৃষ্টিতে দণ্ডিতের সাজাপ্রাপ্ত অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার দণ্ড ও সাজা যথাযথভাবে উপযুক্ত আপিল আদালতে বাতিল হচ্ছে বা তিনি দায় থেকে খালাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থান দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত। তাই সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য।
Advertisement
আদেশের পরপরই গতকাল (২৭নভেম্বর) দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আজ বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল।
আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, জাহিদ হোসেনকে নিম্ন আদালতে দেয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করা হয়েছিল। আপিল বিভাগ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এফএইচ/এমবিআর/আরআইপি