বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এজন্য বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশনও পাঠাবে না। মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডেমোক্রেসি সাপোর্ট ও ইলেকশন কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডেমোক্রেসি সাপোর্ট ও ইলেকশন কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের কো-চেয়ারম্যানের দেয়া ওই বিবৃতিটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে ইইউর পার্লামেন্টের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে না ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন পরবর্তী ফলাফলের ব্যাপারেও তারা কোনো ধরনের মন্তব্য করবে না। এছাড়া বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনও পাঠানো হবে না।’
আরও পড়ুন : চীনের উইঘুর নারীদের যৌনাঙ্গে যন্ত্র ঢুকিয়ে অত্যাচার
Advertisement
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কোনো সদস্যকে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়নি অথবা কোনো সদস্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করলে তা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বলে গণ্য হবে না।
‘এই নির্বাচনের ব্যাপারে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কোনো সদস্যের বিবৃতি কোনোভাবেই ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করবে না।’
এই বিবৃতি জারি করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ডেভিড ম্যাক অ্যালিস্টার ও লিন্ডা ম্যাক আভান।
আরও পড়ুন : দুই মাসের মিশনে আসছেন ইইউয়ের দুই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ
Advertisement
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পূর্ণাঙ্গ মিশন পাঠাবে না বলে নির্বাচন কমিশনকে গত মাসেই জানিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে নির্বাচনের পূর্বের ও পরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পাঠানো হবে বলে জানায়। গত মঙ্গলবার ইইউর নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ডেভিড নয়েল ওয়ার্ড এবং ইরিনি-মারিয়া গোওনারি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এসআইএস/পিআর