দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর চট্টগ্রাম এসেই মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মহাজোটের দুই প্রার্থী মইন উদ্দীন খান বাদল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টায় নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জোট শরিক জাসদের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। যদিও তার পিতা সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের বিরোধ ছিল টক অফ দ্যা কান্ট্রি।
প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের বিরোধের রেশ ধরে এখনও চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা দুটি ধারায় বিভক্ত। তবে আজ নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন পুত্র নওফেলকে আন্তরিকভাবেই বরণ করে নিয়েছেন মেয়র। হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে মেয়রের সঙ্গে আলাপ করেছেন নওফেল।
Advertisement
নৌকার দুই প্রার্থী এ সময় চট্টগ্রাম নগরের প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে মেয়রের সহায়তা কামনা করেন। মেয়রও সব বিভেদ ও ভেদাভেদ ভুলে নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র না করলে আগামী নির্বাচনে আবার নৌকা জয়ী হবে। যদি নৌকা জিততে না পারে, তাহলে চলমান উন্নয়ন কাজ থমকে যাবে। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। চট্টগ্রামের সব আসনে আমরা জিতব, আমাদের সৎ সাহস আছে। নেতাকর্মীরা অনেক উজ্জীবীত।’
উল্লেখ্য, জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে দুই দফায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন। এবার তিনি তৃতীয়বারের মতো ওই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভোটের মাঠে এবারই প্রথম।
Advertisement
আবু আজাদ/এএইচ/আরআইপি