চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠ দখল করাকে কেন্দ্র করে দখলকারীদের সঙ্গে পুলিশ, শিক্ষক-ছাত্রদের সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিল, আদম আলী, কদম আলী, হান্নান ও বিল্লালসহ তাদের লোকজন স্থানীয় ফুটবল খেলার মাঠ নিজের জমি দাবি করে বেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে তা দখল করে নেয়। সকালে এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষক ও ছাত্র এবং গ্রামবাসীরা দখলকারীদের দেয়া বেড়া উচ্ছেদ করার সময় দখলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান (৪৭), মহিদুল ইসলাম (৪৫), রুহুল আমিন (৪৪), প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (৪৯), সহকারী শিক্ষক মনসুর আলী (৪৫), শরিফুল ইসলাম (৪২), মিজানুর রহমান (৫২), আবু সাইদ (৩২), ছাত্র জিহাদ (১৪), রুবেল (১৬), সেলিম (১৫), রশিদুল (১৭), হাবিব (১৫), আকাশ (১৬) আহত হয়। খবর পেয়ে বিষ্ণপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আলী হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দখলকারীরা পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে ক্যাম্প ইনচার্জ আলী হোসেন (৫৫), সদস্য গোলাম রসুল (৩৩), রায়হান (২৭) ও আলমগীর হোসেন (৩৫) আহত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে শর্টগান ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে চামেলী বেগম (৩২), আব্দুল হান্নান (২৭), রিনা খাতুন (২৫) ও পানসোনা বিবি (৫৫) গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে চামেলী খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, দখলকারী আব্দুল জলিলসহ তার লোকজন খেলার মাঠ রাতের আধারে অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে। সকালে খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য দখলকারীদের বললে তারা গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালায়।বিষ্ণুপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আলী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, দখলকারীদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সালাউদ্দিন কাজল/এসএস/পিআর
Advertisement