আন্তর্জাতিক

মঙ্গলে পৌঁছেছে নাসার মনুষ্যবিহীন যান ‘ইনসাইট’

দীর্ঘ সাত মাসের যাত্রা শেষে মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মনুষ্যবিহীন মহাকাশ যান ‘ইনসাইট।’ নাসার গবেষকরা বলছেন, সোমবার মার্কিন স্থানীয় সময় বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে মঙ্গল স্পর্শ করেছে এই যান।

Advertisement

অবতরণের পর পরই নাসার ইনসাইট মিশনের কাছে সেখানে পৌঁছানোর বার্তা পাঠায় ইনসাইট। এর কিছুক্ষণ পরে অবতরণ স্থানের একটি ছবিও পাঠিয়ে দেয়। নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি ইনসাইটকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মঙ্গলে অবতরণের বার্তা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ মঙ্গলে পাঠানো নাসার এই মহাকাশ যানের অবতরণের দৃশ্য দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে নাসদাক স্টক মার্কেট টাওয়ারে ইনসাইটের মঙ্গলে অবতরণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আরও পড়ুন : আপনজনের হাতেই প্রতিদিন খুন ১৩৭ নারী

Advertisement

নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, ‘আজ আমরা মানব ইতিহাসে অষ্টমবারের মতো সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছি।’ মঙ্গলে কম্পনের মাত্রা, প্রাণধারণের উপযুক্ত কি-না এবং পাথরের স্তর কীভাবে তৈরি হলো এসবের রহস্যভেদ করতে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইনসাইট।

চলতি বছরের ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ইনসাইট। তখন থেকে মঙ্গলে পৌঁছাতে নাসার এই মাহাকাশ যান পাড়ি দিয়েছে ৩০ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৯৮১ মাইল পথ। মঙ্গলের এই মহাকাশ যানের গতি ছিল ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ মাইল।

আরও পড়ুন : ভারী বর্ষণ : দুবাইয়ে ৪ ঘণ্টায় ১৪৭ সড়ক দুর্ঘটনা

ফ্রান্সের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের তৈরি বিশেষ যন্ত্র সিসের মাধ্যমে মঙ্গলের কম্পনের মাত্রা পরিমাপ করবে ইনসাইট। পাশাপাশি জার্মান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের তৈরি এইচপি থ্রি যন্ত্র ব্যবহার করে মঙ্গলের ১৬ ফুট গভীরে পৌঁছাতে পারবে নাসার এই যান।

Advertisement

নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই এইচপি থ্রি যন্ত্র মঙ্গলের পাথরের স্তরে তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং তেজষ্ক্রিয়তা পরিমাপ করবে। মঙ্গলে তরল পদার্থের অস্তিত্ব আছে কি-না সেটিও পরীক্ষা করবে রাইস নামের অপর একটি যন্ত্র।

সূত্র : সিএনএন, এএফপি।

এসআইএস/পিআর