সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের ইয়ালোভা প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দু'টি ভিলায় তল্লাশি চালিয়েছে তুর্কি পুলিশ। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
সোমবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালে ওই দুই ভিলায় পৌঁছায় পুলিশের একটি টিম। ইস্তাম্বুল শহর থেকে ১শ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের ওই ভিলাগুলো ছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
ওই দুই ভিলাতে বড় বড় বাগান এবং বেশ কয়েকটি কূয়া রয়েছে। ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের নির্দেশে, পুলিশের ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুকুর এবং ড্রোন দিয়ে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর গাড়িও দেখাও গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ভিলা সৌদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আহমেদ আল ফাওজানের। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের।
Advertisement
তুর্কি প্রসিকিউটরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, খাশোগিকে হত্যা করার একদিন আগে এই ভিলা থেকেই একটি ফোনকল করা হয়েছিল। ওই ফোনালাপে কিভাবে খাশোগির মরদেহ সরিয়ে ফেলা হবে সে বিষয়ে আলাপ করা হয়েছিল। এ থেকেই বোঝা যায় যে, খাশোগির হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত।
তুর্কি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আল ফাউজানকে ফোন করেছিলেন সৌদির সামরিক কর্মকর্তা মানসুর ওথমান আবা হুসেইন। ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে হত্যায় অভিযুক্ত ১৫ সৌদি নাগরিকদের মধ্যে একজন এই সামরিক কর্মকর্তা।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় সৌদি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খাশোগির মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement