জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ছিনতাইকালে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
শৃঙ্খলা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইয়ারাফিউ শিকদার, মুস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন এবং বাংলা বিভাগের আসিফ আহমেদ ও সজীব গাজীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
শৃঙ্খলা বোর্ডের কয়েকজন বলেন, ‘এই তিনজন (ইয়ারাফিউ শিকদার, মুস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা) এর আগেও ছিনতাই ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত।’
Advertisement
ছিনতাই ও সাংবাদিক মারধরে অভিযুক্ত এই তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাময়িক বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু কোনো কারণে তখন তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমতাবস্থায় রোববার (২৫ নভেম্বর) তারা আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়ায়।
রোববার তারা ঘুরতে আসা এক যুগলের কাছ থেকে ছিনতাই করতে গিয়ে আটক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে তাদেরকে ছাত্রলীগেরই কয়েকজন নেতাকর্মী আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। পরে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল বডি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট। ছাত্রলীগ করেও কেউ যদি অপরাধ করে তারও বিচার হোক এটা আমরা চাই। প্রশাসনকে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করতে ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত। এছাড়া ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের ছিনতাই, মাদকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সদাপ্রস্তুত আছে। এ জাতীয় কোনো ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।’
হাফিজুর রহমান/বিএ
Advertisement