তাইজুল ইসলামের ক্যারিয়ারে বসন্তের সুবাতাস বইছে। খেলতে নামলেই নামতা গুণে পাঁচ উইকেট তুলে নিচ্ছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ছিলেন সেরা পারফরমার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও দলের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই।
Advertisement
চট্টগ্রামে চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। অভিষিক্ত নাঈম হাসান আর অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ তাইজুলের তুলনায় অনেক অনভিজ্ঞ। তবে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান তো ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে যিনি টেস্টে প্রথম দুইশ উইকেটশিকারি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
এই সাকিবই যেন অনেকটা ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন তাইজুলের ছায়ায়। দুই ইনিংসে সাকিব নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাইজুল এক ইনিংসেই ৬টিসহ নেন মোট ৭ উইকেট।
তবে চট্টগ্রামে বল হাতে পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকলেও সাকিবের সঙ্গে নিজেকে তুলনায় আনতে নারাজ তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনার বলেন, 'আসলে আমাদের এশিয়ায় বলেন বা বাহিরে, সাকিব ভাই এর সাথে কারো তুলনা করা যায় না। তবু সাকিব ভাই থাকার পরও যখন আমি উইকেট পাই, তখন অনেক ভালো লাগে। মনে হয় একদিন সাকিব ভাই এর মত হয়তো হতে পারবো না, অ্যাট লিস্ট কাছাকাছি যেতে পারবো। এমন মনে হয়। কিন্তু সাকিব ভাই সাকিব ভাইই।'
Advertisement
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের পথে হাঁটতে দেননি তাইজুল। বোলিংটা কি মনমতোই হয়েছে? নাটোরের এই তরুণ বলেন, 'এটাই চেয়েছিলাম। উইকেট না পেলেও রান কম দিতে চেয়েছি, যেন অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট বোলারদের উইকেট পেতে সুবিধা হয়। ক্রিকেট খেলাটাই এমন, একজন রান দিবে, একজন উইকেট পাবে, একজন একটু রান কম দিবে। ভালো করার চেষ্টা করেছি। উইকেটের বিষয়টা তো পরে, ওটা কপালের ব্যাপার।'
২২ টেস্টে ৯৪ উইকেট হয়ে গেছে। ঢাকা টেস্টেই কি লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ১০০ উইকেটের মালিক হওয়ার? তাইজুলের উত্তর, 'এখন আমার মাথায় এত কিছু নেই। আমি ভালো বোলিং করাটাই চেষ্টা করে যাব। প্রথম থেকে যেই চিন্তা সেটাই অ্যাপ্লাই করবো। উইকেট যদি কপালে থাকে। আসলে ভালো বল করলে উইকেট পাওয়ার চান্সটা বেশি থাকে। আমি ভালো বল করার চেষ্টাটাই করবো।'
বোলিংয়ের সঙ্গে নিচের দিকে তার ব্যাটিংটাও কাজে লাগছে বাংলাদেশের। গত টেস্টেই যেমন দলের বিপদের মুখে খেলে দিয়েছিলেন হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস। ব্যাটিং নিয়ে তাইজুল বলেন, 'ব্যাটিং ভালো করলে আসলে ভালো লাগে। আলাদা কাজ বলতে কি, মাঝে মাঝে ব্যাটিং করি, ভালো লাগে। দেখা যায় কোন সময় রান পাই, আবার পাই না। রান করার জন্য কনফিডেন্সের দরকার হয়, হয়তো ওই ইনিংসটা কনফিডেন্স দিবে সামনে।'
এমএমআর/এমএস
Advertisement